ma chhele সুন্দর বনের নদীতে DailyChoti

DailyChoti Golpo Bangla

bangla ma chhele choti. আমার বয়স যখন ১৬ বছর তখন হঠাত  আমার বাবা মারা যায়। কাকা দাদুরা রা আমাদের উপর অনেক অত্যাচার করে বিশেষ করে আমার মায়ের উপর। বাদ্য হয়ে মা আমাকে নিয়ে মামা বাড়ি চলে আসে। মামা বারিতেও শান্তি নেই মা এবন আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়। আমার পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যায়। আমি আমাদের সাথে কাজে লেগে গেলাম সে ১৬ বছর বয়স থেকে।

মা মামা বাড়িতে সব কাজ করত। তবুও মায়ের শান্তি ছিল না। দেখতে দেখতে প্রায় আরো তিন বছর চলে গেল। এর মধ্যে শুনলাম মা মামাদের পারায় এক দূরসম্পর্কের মামার সাথে কি কেমন যেন সম্পর্ক করে। মামারা আমাকে না বললেও আমি বুঝি। এরপর একদিন মামা ধরে ওদের বিয়ে দিয়ে দেয়। মানে আমার মা এবং ওই মামার সাথে।

ma chhele

আমি আর মায়ের সাথে যাইনি মামা বাড়িতে থেকে গেছি। মামদের কাজ করি খাই। আমার মামারা জেলে মাছের নৌকা আছে। আবার চাশাবাস আছে। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর আমি অন্য একজনের নৌকায় কাজ করতে যাই। বড় নদী মামা বাড়ি পাশেই। মাঝে মাঝে ওদের সাথে মাছ ধরতে যাই আবার কেয়া পারাপার করি। আমি এখন যার নৌকায় কাজ করি তার বাড়িতেই থাকি।

খাওয়া পরা দিয়ে মাসে ৫ হাজার দেয়। আধার কার্ড দিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট করে সব টাকা রেখে দেই। এভাবে ৫ বছর কাজ করলাম। এর  মধ্যে মায়ের সাথে আমার দেখা হয় নাই কারন আমি কোনদিন মায়ের সাথে দেখা করতে যাইনি। দেখতে দেখতে আমার বয়স ২৪ বছর হয়েছে। আমার ব্যাংকে এখন ৩ লাখের বেশী টাকা আছে।
কাজ করতে করতে খোঁজ নিতে লাগলাম একটা নৌকা যদি পাওয়া যায় নিজের করে নেব। ma chhele

মালিক টের পেয়ে সবাইকে বারন করে দিল যাতে আমি না কিনতে পারি। এভাবে আর কিছুদিন গেল এর মধ্যে একদিন কলকাতার এক মালিক এল তার অনেক নৌকা চলে, সুন্দরবন নদীতে, আমাকে কাজের জন্য বলল। মাইনেও বেশী  দেবে, তার নৌকায় থাকা যাবে। ইঞ্জিন সহ পানসী নৌকা। আমি কিছুদিন ওখানে কাজ করলাম। এখন আমার বয়স ২৫ বছর।

একদিন হঠাত আমার মা আমার নোউকার কাছে এল। মা এই ক বছরে দেখতে একদম পাল্টে গেছে।, লোকের কথা শুনে আমি মায়ের সাথে কোনদিন দেখা করিনি সবাই বাজে বলত। মা অনেক মোটা হয়ে গেছে। ৮ বছর পর মায়ের সাথে কথা বললাম।’ ma chhele

মা- কেমন আছিস বাবা কতবার তোর সাথে দেখা করতে এসেছি কিন্তু তুই দেখা করিস নি। তোর মামারা আমার সাথে কথা বলেনা বাড়িতে ঢুকতে দেয়না। অনেক কষ্ট করে তোর বন্ধুর কাছে তোর এই নোউকার খোঁজ পেয়েছি।

আমি- আমি তোমার ছেলেনা ছেলে হলে আমাকে এভাবে ফেলে চলে যেতে পারতে এখন কেন এসেছ তুমি। আমার তোমাকে কোন দরকার নেই, আমার মা মারা গেছে ৮ বছর আগে। তুমি আমার মা না। আমি অনাথ।
মা- অমন কথা বলিস না বাবা, আমি একজন মহিলা কি করতে পারি, তোর মামা বাড়িতে একবেলা না কেঁদে ভাত খেতে পারিনি। ma chhele

সুশীল আমাকে কথা দিয়েছিল তোকে নিয়ে থাকবে আমার সাথে, কিন্তু বিয়ে করতেই কেমন পাল্টে গেল আর তুইও যেতে চাসনি বলে ও ওই সুযোগ নিয়েছে। তোর দাদু তোকে দেখল না, কাকাদের কথা বাদ দিলাম সে তো জানে তুই তার বংশধর, সে ও মুখ ফিরিয়ে নিল। আমি কি করব বাবা তুই বল। যার স্বামী নেই তার কেউ নেই। তোর বাবার হঠাত মৃত্যু না হলে আমাদের এইদিন দেখতে হত।

অনেক আশা নিয়ে তোর মামা বাড়ি এলাম, আমার মা ছাড়া কেউ আমাকে দেখতে পারত না। আমাকে কত অপবাদ দিয়েছে। আমার সুশীলের সাথে কোন সম্পর্ক ছিলনা ওরা বদনাম দিয়ে তোর দুই মামী আমাকে বাড়ি ছাড়া করল বাধ্য হয়ে আমাকে সুশীলকে বিয়ে করতে হল। আমি ভালো নেই বাবা আমাকে মাপ করে দিস। ma chhele

তোর কাছে অনেক আশা নিয়ে এসেছি বাবা। সুশিলের অবস্থা খুব খারাপ বেশী দিন বাচবেনা। দুটো কিডনি নস্ট হয়ে গেছে, এই দুধের বাচ্চা নিয়ে আমি কোথায় যাবো।
আমি- আমি কি জানি নিজের সুখের সময় আমাকে ছেড়ে চলে গেছ, আমি কি করব সেই সময় আমি কি খুব বড় ছিলাম ১৬ বছর বয়স ছিল। সবাই আমাকে নানা কথা বলত, আমি কারো কথার উত্তর দিতে পারি নাই।

এখন কেউ কিছু বলেনা, নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি, মালিক ভালো আমাকে এই নৌকা দিয়েছে।
মা- আমাকে একটু সাহায্য কর বাবা না হলে ওকে বাঁচাতে পারবো না।
আমি- মায়ের কোলের দিকে তাকিয়ে দেখি বাঁচাটা কোলে কত বয়স হবে এক বছর।

মা- এ ছোট বড় জন ওর পিসি নিয়ে গেছে সে লালন পালন করবে। তুই আমাকে ফিরিয়ে দিস না বাবা আমাকে সাহায্য কর। ডাক্তার বলেছে বেশী হলে আর ১৫ দিন বাঁচবে যদি ডায়ালিসি না করা হয়। আমাকে একটু সাহায্য কর বাবা। ma chhele

আমি- না না অনেক কষ্টের পয়সা আমার আমি দিতে পারবো না তুমি আস এখন আমাকে ওপারে যেতে হবে। আমি এখন আর মামা বাড়ি ও যাই না এই নৌকায় থাকি। মাম বাড়ী গেলে সবাই শুধু আমার টাকা চায়, আমার রক্ত জল করা টাকা আমি কাউকে দেব না। আমার ভবিষ্যৎ আছে না। সবার গাল মন্দ লাঠি ঝ্যাঁটা খেয়ে আমি বড় হয়েছি।

বাবার কত ইচ্ছে ছিল আমাকে পুলিশ বানাবে কিন্তু আমি হয়েছি নদীর মাঝি আর এই মাঝির পয়সা কাউকে দেব না। তুমি যাও আমাকে যেতে হবে বলে আমি ইঞ্জিন স্টার্ট করে নদীর ওপারে চরের দিকে রওয়ানা দিলাম। যতক্ষণ দেখা গেছে খেয়াল করেছি মা বাচ্চা কোলে নিয়ে দাড়িয়ে ছিল। চরে অনেক ফাঁকা জায়গা আছে কিছুদিন ধরে ওখানকার যারা দু একজন আছে আমার বোটে পারাপার করে তাদের বলেছি আমাকে একটু ঘর করে থাকার জায়গা দিতে। ma chhele

আমি যার বোট চালাই সে আমাকে বলেছে তুই আমার এই জায়গায় ঘর করে থাক। তার জায়গা পর্যন্ত বোট চলে যায় ওখানে গাছ আছে বোটে তালা দিয়ে থাকা যাবে। নদী থেকে বেশ ভেতরে নিরাপদ। ঝর বৃষ্টি হলেও সমস্যা হবেনা। মালিকের অনেক জায়গা লিজে দেওয়া। আমি তাই গত কয়েক দিনে কিছু কাঠ বাঁশের ব্যবস্থা করেছি নিয়ে যাবো, ঘর করব।

এই কথা ভাবতে ভাবতে ঘাটে গিয়ে প্যসেঞ্জার নিয়ে ওপারে রওয়ানা দিলাম। বেলা আড়াইটায় পৌঁছে প্যসেঞ্জার নামিয়ে দিয়ে আবার প্যাসেঞ্জার নিয়ে এপারে চলে এলাম তখন ৫ টা বাজে।  এর পর বাজার করে নিয়ে বোটে উঠলাম। দূরে নোঙ্গর করে রান্না শুরু করলাম। মালিক গ্যাসের ব্যবস্থা করে দেয় আমি আবার কাঠের ব্যবস্থা করি চর থেকে। ma chhele

রন্না বান্না করে খেয়ে সব গুছিয়ে পারে এসে গল্প করে আবার নদীতে চলে যাই বোট নিয়ে। রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে ভাবলাম আজ আমার মা আমার কাছে এসেছিল টাকার জন্য। কাল সকালে মালিকের একাউন্টে টাকা পাঠাতে হবে ও নিজের একাউন্টেও টাকা জমা করব। যদি থাকে মাকে দিতে হবে শত হলেও আমার মা, আমাকে জন্ম দিয়েছে ১৫/১৬ বছর পর্যন্ত লালন পালন করেছে কি করব ওর স্বামী মরে গেলে কোথায় থাকবে।

আবার ভাবলাম নিজের সুখের সময় আমার কথা তো ভাবনি মা, তুমি তো সব জানতে মামারা কেমন, তুমি তাদের বোন তাই তাঁরা দেখেনি আমাকে কি করে দেখে তাঁরা, আমার জন্য তাদের পাড়ার লোকের কাছে কত কথা শুনতে হয় তাই আমাকে চলে যেতে বলেছিল তাঁরা। মামারা বলেছিল তোর মা খারাপ তাই তুইও খারাপই হবি বেড়িয়ে যা আমাদের বাড়ি থেকে, তোর ছায়া যেন না পড়ে আমাদের বাড়িতে। ma chhele

আমি- কাঁদতে কাঁদতে মামা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেছি, কপাল ভালো যে রায় বাবু আমাকে নিয়ে বোটে জায়গা দেয় কাজ দেয় খেতে দেয়, কত না উপকার করেছে আমাকে সেই সময়। আমাকে ইনকাম করা উনি শিখিয়েছেন উনি। এখন অনেকেই সমীহ করে কারন, ঝর বন্যা যা হোক আমি ট্রিপ মিস করিনা। আমার এখনকার মালিক আগের বারে এসে বলেছিল এবার এই বোট বিক্রি করে দেবে।

আমাকে বলেছে তুই চেষ্টা কর নিতে পারিস কিনা। আমি সেই আশায় বসে আছি। আমি মালিকে টাকা পাঠানোর আগে ফোন করলাম। মালিক বলল ঠিক আছে পাঠাও আমি আগামী সপ্তাহে আসছি তখন কথা বলব তখন কথা বলব। আমি আচ্ছা মালিক আসেন আপনি, এখন কাজ একটু কম তবুও পাঠালাম। ma chhele

এর পড়ে দুই তিন দিন এভাবেই কাজ চলছে একজনকে নিয়ে চরে ছোট একটা ঘর বানালাম। জমি কেনা আমার পক্ষে সম্ভব নয় জমি কিনলে চল্বো কি করে পরের কাজ আর কতদিন করব। নিজের একটা হলে আমি বাঁচতে পারবো। একদিন বিকেলে আমি বোট নোঙ্গর করে পারে আসতেই দেখি মা বসে আছে। সে বাচ্চা মেয়ে কোলে নিয়ে। আমাকে দেখেই কাছে এল।

আমি- চল ওই ফাঁকা জায়গায় বসি। বলে মাঠের মধ্যে বসলাম।
মা- কি করবি আমাকে একটু সাহায্য কর। খাবারের টাকা পয়সা নেই, মেয়েটাকে খাওয়াতে পারছিনা, শুধু বুকের দুধ খায়। ঘরে এক মুঠো চাল নেই কোন আত্বীয় আমাদের সাহায্য করেনা। লোকটা ঘরে জ্বালা যন্ত্রণা নিয়ে মরে যাচ্ছে আর বাঁচবে না। ma chhele

তোর দুটো ছোট বোন ওদের নিয়ে আমি কোথায় যাবো। হাসপাতালে গেলেও কিছু টাকা লাগে গত কয়েকমাস কোন কাজ করতে পারেনা কোথা থেকে আসবে টাকা। এক টুকরো জমি ছিল সেটা বন্ধক রেখে ওর পিছনে খরচা করে ফেলেছি। এখন আমার আর কোন রাস্তা নেই, এক রকম নিরুপায় হয়ে তোর কাছে এসেছি, আমি জানি আমি খারাপ কিন্তু আমি কি করতে পারি আমার যে আর কোন রাস্তা নেই।

একমাত্র ভরসা তুই। তুই আমাকে বাঁচা বাবা তুই আমার শেষ ভরসা আমাকে ফিরিয়ে দিস না একটু সাহজ্য কর। ও মরে গেলে আমি ও বাড়িতেও থাকতে পারবোনা কারন যা দেনা সব বেঁচে দিলেও শোধ হবেনা।

Leave a Comment

Discover more from daily choti stories

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading